
মেহেদী হাসান বিশেষ প্রতিনিধি:
নোয়াখালী জেলা শহরে স্কুলে যাওয়ার পথে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে তিনদিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত থাকায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত মাসুদ আলম (২৬) জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের মাধবসিংহ গ্রামের ৮ নং ওয়ার্ডের শহরবাড়ীর মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। ভিকটিম জেলা শহরের একটি স্কুলের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
ভিকটিমের মা অভিযোগ করে বলেন, গত ২৬ ফেব্রæয়ারী আমার মেয়ে প্রতিদিনের মতো স্কুলে যায়। কিন্তু ছুটির পরও সময় মতো বাসায় না আসায় আমি স্কুলে গিয়ে না পেয়ে আত্বিয় স্বজনের বাসা-বাড়িতে অনেক খোঁজ খবর নিয়ে না পেয়ে পরে ২৭ ফেব্রুয়ারী সুধারাম মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি।
এরপর গতকাল ২৮ ফেব্রুয়ারী দিবাগত ভোররাতে কে বা কারা আমার মেয়েকে জেলা শহরের হাউজিং বালুর মাঠে ফেলে যায়। নৈশ প্রহরীরা দেখতে পেয়ে তাকে আমাদের বাসার গেটের সামনে আনলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এসময় তাকে খুবই বিধ্বস্ত অবস্থায় আমরা পাই। তার সারা শরীরে ক্ষতের আঘাত রয়েছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই।
ভিকটিমের বড় বোন বলেন, ভোররাতের দিকে বাসার দারোয়ান আমাদেরকে ডাক দিয়ে তুললে আমরা নীচে গিয়ে দেখতে পাই আমার ছোট বোন অজ্ঞান অবস্থায় গেটের সামনে পড়ে আছে। পরে আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানালে তারা দ্রত হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। তখন আমরা আজ ভোরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি। বর্তমানে ভিকটিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে জানার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে গেলে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও তত্বাবধায়ক সহ সংশ্লিষ্ট কাউকে পাওয়া যায়নি।
সুধারাম মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, ভিকটিমের মায়ের ডায়েরির প্রেক্ষিতে আমরা অপরাধী মাসুদকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।