Skip to content
4444-removebg-preview (1)

Primary Menu
  • বাংলাদেশ
  • অপরাধ
  • খেলাধুলা
  • জীবনযাপন
  • বাণিজ্য
  • বিনোদন
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • ইসলাম ও ধর্ম
  • Home
  • অপরাধ
  • জুলাই আন্দোলনে শহীদ রিজভীর ভাইকে কুপিয়ে জখম, ৩কিশোর গ্রেপ্তার

জুলাই আন্দোলনে শহীদ রিজভীর ভাইকে কুপিয়ে জখম, ৩কিশোর গ্রেপ্তার

IN DESK April 28, 2025
17123

নোয়াখালী জেলায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ মাহমুদুল হাসান রিজভীর ছোট ভাই স্কুলছাত্র শাহরিয়ার হাসান রিমনকে (১৭) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহতের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

রোববার (২৮ এপ্রিল) রাতে সুধারাম মডেল থানায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ ঘটনায় ৩ কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে পুলিশ তাদের নাম ও ছবি প্রকাশ করেনি।

আহত শাহরিয়ার হাসান রিমন জেলা শহরের বসুন্ধরা কলোনি বাসিন্দা মো. জামাল উদ্দিনের ছেলে। সে হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

জানা যায়, বিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে কিশোর গ্যাং সদস্যরা শাহরিয়ার হাসান রিমনকে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। তবে শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেন। একই দিন রাতে ভুক্তভোগীর মা ফরিদা ইয়াছমিন ২১ জনকে এজহারভূক্ত ও ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে ৩ কিশোরকে গ্রেপ্তার করে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলার সদস্যসচিব মো. বনি ইয়ামিন, রিমনের স্থায়ী ঠিকানা নোয়াখালী জেলার হাতিয়ায়। তার বাবার চাকরির সুবাধে পরিবারের সাথে সে নোয়াখালীর মাইজদীর বসুন্ধরা কলোনীতে বসবাস করেন। তাকে মারাত্মক ভাবে ছুরিকাঘাত করেছে। এঘটনায় জেলা শহর, হাতিয়াসহ বিভিন্নস্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করা হয়েছে। পুলিশ যেনো সকল অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে এই আশা রাখছি।

নিহতের মা ফরিদা বলেন, রিমনের পিঠে, মাথাসহ মোট ৬টি জায়গায় ছুরিকাঘাত করা হয়। তার অপারেশন ঢাকা মেডিকেল কলেজে করানো হয়েছে। বর্তমানে এখানেই চিকিৎসা চলছে। তার পিঠের আঘাতগুলো ফুসফুস পর্যন্ত চলে গেছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন। হামলাকারীরা ভেবেছিল রিমন মারা গেছে। যখন জানতে পারে সে বেঁচে আছে তখন তারা ফের হামলা করতে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল পর্যন্ত যায়।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মামলা দায়েরের পর সিসিটিভি ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এজহারভুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনায় আমাদের আরও অনুসন্ধান চলছে। সিসি ক্যামেরা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সবাইকে আমরা খুব দ্রুতই আইনের আওতা আনতে পারব বলে মনে করছি। 

Print Friendly, PDF & Email